বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ

সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : পুলিশের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে হ্যান্ডকাপসহ এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ২ ঘণ্টা পর তাকে আটক করে জনতা পুলিশে দিয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ টার দিকে উলিপুর উপজেলার থানা মোড়ে।
জানা গেছে, জেলার রাজিবপুর থানার এস আই হাবিব গত বুধবার মধ্যরাতে চর সাজাই কোদালকাটি মন্ডলপাড়া গ্রামের জুয়ার আসর থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে। গতকাল এ এস আই গোলাম মোস্তাফার নেতৃত্বে ৪ কন্সটেবলের প্রহরায় ঐ ৬ আসামিকে সকাল ৯টার দিকে রাজিবপুর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার জন্য কুড়িগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ.এস.আই গোলাম মোস্তাফা বেলা ১২ টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড় হয়ে উলিপুর থানা মোড়ে পৌঁছে আসামিদের সাথে নিয়ে চা-পান খাওয়ার সময় আসামি রফিকুল ইসলাম (৩০) হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে যায়। উত্তর কোদালকাটি গ্রামের জেল হকের পুত্র সে। বিষয়টি দ্রæত উলিপুর থানায় জানালে পুলিশ আসামিকে ধরতে মুন্সি পাড়ায় সাঁড়াশী অভিযান শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে মুন্সিপাড়া গ্রামের হাছেন আলীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে জনতা হ্যান্ডকাপসহ আটক করে উলিপুর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে পুলিশ হাফ ছেড়ে বাঁচে। এরপর ঐ এ এসআই’সহ কয়েকজন পুলিশ মিলে আটক রফিকুল ইসলামকে পালানোর অপরাধে থানার ভিতরে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে সে নিথর হয়ে পড়লে অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে পিটমোড়া করে বেঁধে বেলা ৩টার দিকে কুড়িগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ ব্যাপার রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পৃথ্বীশ কুমারের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে। উলিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এস কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উলিপুর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামিকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।